www/content/bengali/posts/nil-dag.md
2023-02-26 16:14:38 +05:30

30 lines
6.0 KiB
Markdown
Raw Blame History

This file contains invisible Unicode characters

This file contains invisible Unicode characters that are indistinguishable to humans but may be processed differently by a computer. If you think that this is intentional, you can safely ignore this warning. Use the Escape button to reveal them.

This file contains Unicode characters that might be confused with other characters. If you think that this is intentional, you can safely ignore this warning. Use the Escape button to reveal them.

+++
title = "নীল দাগ"
date = 2023-02-26
author = "Palash Bauri"
tags = [ "এখন", "পুঁজিবাদ",]
+++
আগে টুইটারে নামের পাশের নীল রঙের টিক চিহ্ন পরিচয় ছিল এই ব্যক্তি বিশেষ "পপুলার"। একটা সম্ভ্রমের চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই নীল টিক চিহ্ন। যখন গত বছর ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নিল। তখন টুইটারে এক নতুন নিয়ম এলো। মাসে $৮ ডলার দিলেই পাওয়া যাবে এই নীল দাগ, সাথে আরো কিছু সুযোগ সুবিধা।
এই দামটাও দেশ ভেদে আলাদা আলাদা যুক্তরাষ্ট্রে যেটা $৮ ডলার ভারতে সেটা আবার ₹৯০০। ৮ ডলারের হিসাবে হলে ভারতে এটা মোটামুটি হওয়া উচিত ছিল ₹661.80[^১]। টুইটারের দেখাদেখি ফেসবুকও আবার একই ধরনের প্যাকেজ নিয়ে আসছে, তবে ভারতে এখনও শুরু হয়নি।
![টুইটার ব্লু](https://live.staticflickr.com/65535/52711983680_ef7aac278e_c.jpg "টুইটার ব্লু")
একসময় একটা গ্রামে হাতে গোনা এক দুজনের ঘরে থাকতো টিভি বা টেলিফোন কিন্তু এখন এগুলো (প্রায়) সবার ঘরেই আছে। একসময় আসে পাশে চারচাকার গাড়ি দেখা পেলে ছেলেপুলেরা বেশ উৎসাহিত হতো কিন্তু ওগুলো কমন হয়ে গেছে। আগে যখন মোবাইল বা টিভি এতটা সহজলভ্য ছিল না তখন এগুলো সম্ভ্রমের চিহ্ন বা স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে উঠেছিল আর এখন যখন আমরা শুনি কারো কাছে মোবাইল নেই তখন আমরা অবাক হয়ে যায়।
পুঁজিপতি সমাজ ব্যবস্থায় এটা খুবই স্বাভাবিক জিনিস। ধনী লোক যখন ঘোড়া গাড়িতে চড়ত তখন সাধারণ খেটে খাওয়া লোক হেঁটে যেত। তারপর ধনীরা চারচাকা গাড়িতে চড়তে লাগলো আর অন্যরা মোটরসাইকেল। এখন যখন চারচাকার গাড়ি একটু সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসছে তখন ধনীরা ব্যক্তিগত বিমান বা প্রাইভেট জেটে চড়ছে।
![✈️](https://media.tenor.com/yZ7QWZvJ6-4AAAAj/party-travelling.gif "")
ধনী লোক, সেলিব্রিটি, এখন আবার সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সর, এদের প্রত্যেকের জীবন টা হচ্ছে একটা বৃহৎ প্রসারযুক্ত উন্মুক্ত বিজ্ঞাপন। এদের জীবন বা জীবনযাত্রা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে একটা অচৈতনিক জীবনের লক্ষ্যের সমান। আমরা ওদের মতো হতে চাই, ওদের মতো দামি জিনিস পরতে চাই।
সমস্ত সেলিব্রিটিরা একটা চলন ক্ষমতা যুক্ত বিলবোর্ড। এদের কয়েকজন কারো পৃস্ঠপোষকতায় তাদের বর্তমান স্থানে আবার কেউ কেউ নিজের মেহনতে উঠে এসেছে। কিন্তু সাফল্যের একটা অদৃশ্য সীমা অতিক্রম করলেই এদের জীবন চলে আসে কয়েকজন অন্ধকারে থাকা মানুষের হাতে। তারা যা বলছে তা তাদের বলানো হচ্ছে যা করছে করানো হচ্ছে। একটা প্রকল্পিত (Hypothetical) সাফল্যের চূড়া তাদের মধ্যেও প্রকট ভাবে স্থাপিত করা হয়, অমুক খান এত কোটি টাকার সিনেমা করেছে তমুক কাপুর ভাবছে তাহলে আমাকে ওর থেকে আরও দামী সিনেমা করতে হবে। তবে ভারতে তারকাদের নিয়ে পাগলামো একটু কমেছে ৺সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার পর থেকে। সংবাদমাধ্যমের দৌলতে সাধারণ মানুষ একসময় ফিল্ম তারকাদের অনেকটা ঘৃণার চোখে দেখতে শুরু করেছিল তবে তাতেও এখন আস্তে আস্তে ভাঁটা পড়তে শুরু করছে।
![🙈🙉🙊](https://media.tenor.com/m05bz7gSSU4AAAAj/slap-bunny.gif "")
---
[^১]: $১ = ₹৮২.৭৩ [১৩ ফেব্রুয়ারি, :am UTC]